স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীকে না জানিয়েই টাকা কেটে নিচ্ছে ব‍্যাঙ্ক : ব‍্যাপক বিক্ষোভে মহিলারা

26th August 2020 4:50 pm বাঁকুড়া
স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীকে না জানিয়েই টাকা কেটে নিচ্ছে ব‍্যাঙ্ক : ব‍্যাপক বিক্ষোভে মহিলারা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের না জানিয়ে ব্যাঙ্ক আকাউন্ট থেকে ইচ্ছেমতো টাকা কেটে আত্মসাৎ করছে ব্যাঙ্ক   কর্তৃপক্ষ।  এই দাবি তুলে আজ ব্যাঙ্ক ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার স্বনির্ভর দলের মহিলারা।  আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার আমরুল গ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের একটি শাখায়।  ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি বীমার জন্য ওই টাকা কাটা হয়েছে। 

বাঁকুড়ার আমরুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ১৮৭ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে।  প্রতিটি গোষ্ঠীতে কমবেশি গড়ে দশ জন করে সদস্যা আছেন। আমরুল এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের একটি শাখায় এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আকাউন্ট রয়েছে। স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির দাবি সম্প্রতি মোট ৭৫ টি গোষ্ঠীর আকাউন্ট থেকে ইচ্ছেমতো টাকা কেটে নিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি আকাউন্ট থেকে ৩৭০০ টাকা থেকে ৮৮০০ টাকা পর্যন্ত কাটা হয়েছে বলে দাবি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের।  বিক্ষোভকারীদের দাবি বীমা করার নামে ব্যাঙ্ক ওই টাকা কেটে নিলেও সদস্যাদের মৃত্যু হলে বীমার টাকা মিলছে না। স্বাভাবিক ভাবে আন্দোলনকারীদের ধারনা বীমার নামে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ গোষ্ঠীগুলির টাকা আত্মসাৎ করেছে।ব্যাঙ্কের এই ভূমিকার বিরুদ্ধেই এলাকার সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আজ একত্রিত হয়ে ব্যাঙ্ক ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।  ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।  তাঁর দাবি গোষ্ঠীর সদস্যাদের সুবিধার জন্যই নিয়ম মেনে ওই বীমা করা হয়েছে।  বীমার প্রয়োজনেই গোষ্ঠীর মহিলাদের আকাউন্ট থেকে টাকা কাটা হয়েছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।